বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
রিয়াজ হত্যা মামলার সুষ্ঠ তদন্ত ও প্রকৃত আসামীকে গ্রেফতার করার মাধ্যমে হত্যার রহস্য উম্মোচিত করার দাবী

রিয়াজ হত্যা মামলার সুষ্ঠ তদন্ত ও প্রকৃত আসামীকে গ্রেফতার করার মাধ্যমে হত্যার রহস্য উম্মোচিত করার দাবী

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সদর উপজেলা চরমোনাই ইউনিয়নে হত্যার শিকার হওয়া দলিল লেখক রেজাউল করিম রিয়াজের সহকারী ও স্ত্রী আমিনা আক্তার লিজার পরকিয়া প্রেমিক ও হত্যা মামলার সন্দ্রেহজনক পলাতক আসামী মাসুম হোসেন দফাদারকে দ্রুত গ্রেফতার করা সহ সঠিক তদন্তের মাধ্যমে হত্যার রহস্য উদঘাটন করার দাবী জানিয়ে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যলয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন হত্যা মামলার বাদী নিহতের বড় ভাই মোঃ মনিরুল ইসলাম রিপন সহ তার পরিবার সদস্যরা।
সোমবার (৭ই) সেপ্টেম্বর বেলা ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যতে বাদী মনিরুল ইসলাম রিপন বলেন, রিয়াজের স্ত্রী আমিনা আক্তার লিজার আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্ধিতে স্বিকারোক্তি দেয়া হত্যাকারী তার পরকিয়া প্রেমিক মাসুম হোসেন দফাদারকে আজ পর্যন্ত পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
অন্যদিকে বর্তমান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির ইন্সেপ্রেক্টর সগির হোসেন কয়েকদিন আগে তিন ছিচকে মোবাইল চোর আটক করেই তিনজনকে আদালতে হাজির করে জবানবন্ধি গ্রহন করে এবং তিনজনই রিয়াজ খুনের দায় শিকার করে। আদালতে চোরদের দেয়া জবানবন্ধিতে দেখা যায় তাদের তিনজনের বক্তব্য তিন রকমের যা কারো কথার সাথে কারো কোন মিল নেই যা পুরো ঘটনাটি সাজানো ও রহস্য বলে মনে হচ্ছে সেই সাথে হত্যা মামলাটি ভিন্নখাতে নেয়ার পায়তারা চলছে। এছাড়া তিনি আরো দাবী করে ডিবির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ রেজাউল করিম আমার মামা মোঃ আব্দুল হাই মন্টু ও আমার ভাগিনা মোঃ আসিফ হাওলাদারকে ফোনের মাধ্যমে ডিবি অফিসে ডেকে নিয়ে আমিনা আক্তার লিজার মাল-পত্র বুঝিয়ে দেয়া সহ আমিনা আক্তার প্রিয়জন সেলে থাকাকালীন একটি কণ্যা সন্তান জন্ম দেন, সেই সন্তানের ভরন পোষন দিতে বলেন।
তিনি বলেন, আমার ভাই রেজাউল করিম রিয়াজ প্রথম স্ত্রীর সাথে ১০ বছর ঘড় সংসার জীবনে তাদের কোন সন্তান ছিল না। এমনকি দ্বিতীয় স্ত্রী লিজার সাথে ৪ বছর সংসার জীবনেও তাদের কোন সন্তান ছিল নেই। তাই আমরা মনে করি জন্ম নেয়া এ সন্তান আমার ভাইয়ের না। এবং আমরা এই সন্তানের দায় গ্রহন করব না। আমি চাই এই সন্তানের ডিএনএ পরিক্ষার মাধ্যমে সন্তানের প্রকৃত পরিচয় উদঘাটিত করা হোক। বাদী মনিরুল ইসলাম রিপন আরো বলেন, আমিনা আক্তার লিজা সদ্য জন্ম নেয়া সন্তানের দোহাই দিয়ে ৮ মাস পূর্বে আদালত থেকে জামিন নেয়ার পর এই পর্যন্ত লিজা বলেনি যে, সেসময় তাকে পুলিশের নির্যাতন করে ১৬৪ ধারা জবান বন্ধি আদায় করেছিল। হঠাৎ করে বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক তিন ছিচকে মোবাইল চোর আটকের পরপরই নতুন করে এখন লিজা বলেন যে, পুলিশ তাকে নির্যাতন করে জবান বন্ধি আদায় করে নিয়েছিল।
এতে আমি মনে করি এখানে কোন গভির ষড়যন্ত্র লুকায়িত আছে। অপরদিকে লিজা জামিনে বেড় হয়ে এসে আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্ন রকম হুমকি দামকি দিয়ে আসছে এতে করে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি। এমনকি কয়েকদিন পূর্বে আমার ভাগিনা আসিফ হাওলাদারকে নগরীর বাজার রোডে বসে লিজার ভাই ইমন হক মিস্টান্ন ভান্ডার মিষ্টির দোকানের সামনে বসে মারধর করা সহ গালিগালাজ করে। তাই এসকল কারনে আমরা মামলার সুষ্ঠ বিচার নিয়ে সন্ধিহান রয়েছি। আমরা এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অচিরেই মাসুমকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান। উল্লেখ্য ২০১৯ সালে ১৮ই এপ্রিল মধ্য রাতে দলিল লেখক রেজাইল করিম রিয়াজ ও তার স্ত্রী লিজার নিজ ঘড়ের শয়ন কক্ষে রিয়াজকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে। কোতয়ালী পুলিশ পরেরদিন ১৯ই এপ্রিল রিয়াজের মরদেহ উদ্ধার করা সহ লিজা গ্রেফতার করে। অন্যদিকে রিয়াজ হত্যার পর থেকে অদ্য পর্যন্ত লিজার পরকিয়া প্রেমিক মাসুম দফাদার পলাতক রয়েছে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাদী মনিরুল ইসলামের ছোট ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম রুবেল,খালাতো ভাই শাখাওয়াত সিকদার,সিদ্দিক,ভাগিনা আসিফ হাওলাদার ও বাদীর স্ত্রী রেবেকো সুলতানা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com